রাজশাহী মহানগরীর অক্ট্রোয় মোড় এলাকায় ব্রিটিশ ল্যাঙগুয়েজ ক্লাব অ্যান্ড আইইএলটিএস সেন্টার (British Language Club & IELTS) নামের একটি কোচিং সেন্টারের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ২ লক্ষ ১৫ হাজার ৩০০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। কোচিং সেন্টারটি মহানগরীর মতিহার থানার কাজলা অক্ট্রোয় মোড় এলাকায় অবস্থিত।
মোঃ শহিদুল ইসলাম (৬৫) নামের এক অভিভাবক রাজশাহী মহানগরীর মতিহার থানায় বিবাদী কোচিং সেন্টারের প্রধান মোঃ ইয়ারফ আলীর (৪৮) ওরফে লর্ড বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে বলা হয়েছে, বিবাদী শিক্ষক মোঃ ইয়ারফ আলীর (লর্ড) মালিকানাধীন কোচিং সেন্টারটি ৬ মাস ও ৩ মাস মেয়াদী পাঠদানের জন্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সর্বনিম্ন ১২ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৩২হাজার টাকা পর্যন্ত গ্রহণ করেন। কিন্তু শর্তানুযায়ী আশানুরূপ পাঠদান না করানোয় শিক্ষার্থীদের সময় নষ্ট হয় এবং তারা হতাশ হয়ে পড়েন। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের মধ্যে হাসান ১৮ হাজার টাকা, সাদিয়া-১২,৩৩৪ টাকা, রাইয়া-৮,৩৩৪টাকা, তুবা-৬,৩৩৪ টাকা, আফরিন-১০,৮৩৪ টাকা, তোতা-৫,৫০০ টাকা, প্রিয়জিত-১২,৩৩৪ টাকা, আজাদ-৫,৮৩৪ টাকা, মাহফুজ-১৬,৮৩৪ টাকা, অভি-১২,৩৩৪ টাকা, সিয়াম-১২,৩৩৪ টাকা, মুস্তাকিন-১২,৩৩৪ টাকা, সাকিবুল-১২,৩৩৪ টাকা, মুনিম-২৮,৩৩৪ টাকা, মিজানুর রহমান ৬,০০০ টাকা, হুমায়রা-৪,০০০ টাকা, জামাল-৭,০০০ টাকা, সাজেমান-৭,০০০ টাকা, আব্দুল্লাহ-৯,০০০ টাকা, মুস্তাফিজুর রহমান- ৭,০০০ টাকা সর্বমোট ২,১৫,৩০০/- (দুই লক্ষ পনের হাজার তিনশত) টাকা প্রদান করেন। এছাড়াও সাইফ নামের একজন শিক্ষার্থী ২৪,০০০ হাজার টাকা প্রদান করেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা কোচিং কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের প্রদত্ত টাকা ফেরত চাইলে কর্তৃপক্ষ তালবাহানা শুরু করে এবং টাকা চাইলে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করে।
অভিযোগে আরও জানানো হয়েছে, গত ২৬/০৯/২০২৫ তারিখে সন্ধ্যা ৬টায় মোঃ শহিদুল ইসলাম সহ অন্যান্য অভিভাবকগণ এবং ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা ব্রিটিশ ল্যাঙগুয়েজ ক্লাব অ্যান্ড আইইএলটিএস কোচিং সেন্টারে গিয়ে টাকা ফেরত চান। সে সময় বিবাদী অশোভন আচরণ করেন। পরবর্তীতে তিনি গত শুক্রবার (১০ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টায় মধ্যে টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য সময় নেন এবং উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মীদের সামনে ৩০০ টাকা মূল্যের নন- জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে টাকা গ্রহণের বিষয়টি স্বীকার করেন এবং টাকা ফেরত দেওয়ার অঙ্গীকার করেন। তবে গত শুক্রবার শিক্ষার্থীরা কোচিং
সেন্টারে গিয়ে দেখেন সেটি তালাবদ্ধ। ফলে শিক্ষার্থীরা টাকা উত্তোলন করতে পারেননি এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করেন।
এ ব্যপারে জানতে জানতে চাইলে শিক্ষক মোঃ ইয়ারফ আলীর (লর্ড) বলেন, টাকা গ্রহণ ও ফেরতের অঙ্গীকারের বিষয়টি স্বিকার করেন। তবে তিনি টাকা ফেরত দিবেন না বলে সাফ জানান। বলেন আমি তাদের কোচিং-এ পড়িয়ে পাওনা টাকা সমতুল্য পরিশ্রম দিব।
মতিহান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি), জানান, টাকা ফেরতের জন্য শিক্ষক ৩শত টাকা মূল্যের স্ট্যাম্পের উপর অঙ্গিকার করেছেন। তাই আইন অনুযায়ী তার টাকা ফেরত দেয়া উচিত। তবে কেন তিনি টাকা ফেরত দিচ্ছেন না এবং সার্বিক বিষয় কি? তা তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।